নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ার শাজাহানপুরে সুজাবাদ হঠাৎ পাড়া। এই এলাকায় সারিয়াকান্দির যমুনা নদী ভাঙ্গনে নিস্বঃ দুইশতাধিক পরিবারের বসবাস। এসব বাসিন্দাদের একমাত্র রোজগারের অবলম্বন হলো খেটে খাওয়া। অর্থাৎ দিনমজুর।
করোনা পরিস্থিতিতি আর লকডাউনে ঘর থেকে বের হতে না পাড়ায় রোজগারের একমাত্র পথটি একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামবাসির অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিধিরাও তাদের খোঁজ খবর নেন না।
কর্মহীন এসব দারিদ্র মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ রিজভী। তিনি সুজাবাদ উত্তর পাড়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি, বগুড়া স্ট্যাটিজ গ্রুপের আজিবন সদস্যএবং ১৩নং ওয়ার্ডের কমিনিউটি পুলিশিং কমিটির সহ-সভাপতি।
শনিবার রমজানের শুরুতেই কর্মহীন ২’শ পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রমিছা বেওয়া বলেন, ফারুক মানুষ নয়, আমাদের কাছে মানবতার দূত। সে না থাকলে হয়তো, আজ এই হঠাৎপাড়ার মানুষদের না খেয়ে থাকতে হতো।
এছাড়াও এর আগে তিনি খাবার সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে খাসির মাংস উপহার দেন।
এলাকার যুব সমাজকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন জিবানুণাশক স্প্রে করছেন নিজেই।
সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন, সুজাবাদের হঠাৎ পাড়ার সকল বাসিন্দাই একবারেই দারিদ্র। আমি খাবো আর আমার প্রতিবেশীরা না খেয়ে থাকবেন এটা তো বে-ইনসাফের কাজ। আমি বিত্তবান নই। তারপরও আমার সবর্স্ব দিয়ে হলেও প্রতিবেশী বন্ধুদের পাশে থাকবো।
আমার একটাই অনুরোধ কেউ যেন লকডাউন অমান্য না করেন। ঘরেই থাকেন।