শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
প্রতিশ্রুতির ৩০ কেজি চাল পেয়েছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সহায়-সম্বলহীন অসহায় জায়েদা বেগম (৫৫)। পাশাপাশি হাড়ি-পাতিল, জগ-গ্যাস, বালতি ও কাঁচা তরিতরকারীও দেয়া হয়েছে তাকে।
সোমবার সকালে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু জায়েদার হাতে এই চাল, হাড়ি-পাতিল ও তরিতরকারী তুলে দেন। এসময় শুভসংঘের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে কালের কন্ঠের শুভসংঘের উদ্যোগে কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট্য কথাসাহিত্যিক এমদাদুল হক মিলন নিজ হাতে জায়েদা বেগমকে ছাগল ও হাঁস, মুরগি তুলে দেন। এসময় উপস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু নিজ অর্থায়নে অসহায় জায়েদাকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
জায়েদা বেগম বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সদর মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়া দক্ষিনপাড়ার মৃত কালাম উদ্দিন ওরফে কালাদ্দিনের মেয়ে।
জায়েদা বেগমের আপন বলতে কেউ না। বহু বছর আগেই মা-বাবা, ভাই-বোনকে হারিয়েছেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর কোলের শিশু মারা যাওয়ায় স্বামীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। বাবার কোন জমি-জমা না থাকায় প্রতিবেশী এক ব্যক্তির জমির এক কোণে পঁচা নর্দমার পাশে বাঁশের মোটা কঞ্চির খুঁটি গেড়ে সিমেন্টের প্লাষ্টিক বস্তা টানিয়ে চার ফিট ব্যসার্ধের একটি ঝুঁপড়ি ঘরে রাত কাটান তিনি। সারাদিন ঘুরে ঘুরে শাক, কচু সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করে সারা দিনে যা পায় তাই দিয়ে পেটের ভাত জোগাতো। কোন কোন দিন শাক, কচু পাওয়া না গেলে ওইদিনের একমূঠো ভাতের খোরাক জোটে চেয়েচিন্তে আর ভিক্ষা করে।
এমন একজন বাস্তহারা অসহায় নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে কালের কন্ঠের শুভসংঘ। অসহায় জায়েদাকে স্বাবলম্বি করে স্বাভাবিক সংসার জীবনে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শুভসংঘ। ইতোমধ্যে তার মাথা গোঁজার মত একটি ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছে শুভসংঘ উপজেলা কমিটি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।