ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক। রাজনীতির মাঠেও মাশরাফি বিন মুর্তজা হিরো। করোনার এই দুর্যোগকালে নড়াইল-২ আসনের জনগণের ত্রাণকর্তা হয়ে উঠেছেন সাংসদ মাশরাফি। ডাক্তার, নার্স, কৃষকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের উপকার করে যাচ্ছেন তিনি। এবার নিজ এলাকার এতিম ছাত্রদের পাশে দাঁড়ালেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
করোনার প্রাদুর্ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীরা এখন যার যার পিতামাতা ও পরিবারের ছায়ায় আনন্দে দিন কাটাচ্ছে। তবে এতিম ছাত্রদের সেই সুযোগ নেই। কয়েকদিন আগেই যেমন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার একটি এতিমখানা মাদ্রাসার সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে জানান, তার এতিমখানা মাদ্রাসার সব ছাত্রকে ছুটি দিতে পারলেও মানবিক কারণে ৮/১০ জনকে ছুটি দিয়ে পারেননি।
কারণ পিতামাতাহীন ওই এতিম ছেলেদের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। তাদের নেই কোন ভিটেমাটি বা বুকে টেনে নেয়ার মতো কোন সহৃদয়বান নিকটাত্মীয়। নিরুপায় হয়ে কয়েকজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে মাদ্রাসাতেই রয়েছেন এতিম ছাত্ররা। এসব শুনে ওই মাদ্রাসায় ২০ কেজি চাল বরাদ্দ দেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরবর্তীতে এ ঘটনা জানতে পেরে, মানবিক সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা তার নির্বাচনী এলাকার অন্তর্গত সব এতিমখানায় উপহার সামগ্রী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এতিম শিশু ও তাদের তত্ত্ববধায়ক শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০ কেজি করে চাল প্রতিটি এতিমখানা মাদ্রাসায় উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছেন মাশরাফি। আজ লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার সর্বমোট ৩৪টি এতিমখানায় পাঠানো হয়েছে মাশরাফির উপহার। এরপর নড়াইল সদর উপজেলার এতিমখানায় বিতরণ করা হবে এসব উপহার সামগ্রী। আর মাশরাফি জানিয়েছেন এ সকল ফুটফুটে শিশুদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থাকবেন তিনি।
উপহার বিতরণকালে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, পবিত্র মাহে রমজানে মাননীয় সাংসদ তার ক্রিকেটাঙ্গন থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়ানোয় ওনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। দুর্দিনে এভাবে আমাদের সমাজের সকল স্তরের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এক মানবিক নড়াইল বিনির্মাণ করে চলেছেন। মাননীয় সাংসদের সেই মানবিক নড়াইল বিনির্মাণের পথচলায় লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সবসময় পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।