সুমন সরদার, নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিন দিন মানুষ মারা যাচ্ছে। সংক্রমনের সংখ্যার লাইনটা হচ্ছে লম্বা। মৃত্যুর মিছিলে এমন কোন শ্রেনিপেশার লোক নাই যে, রক্ষা পাচ্ছে।
রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সাংবাদিক, শিশু, তরুন, বয়োবৃদ্ধসহ অকালে অনেকেই করোনা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। আবার অনেকেই এ যুদ্ধে জয়লাভ করেছে।
স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্বের বিষয় মাথায় রেখে যারা সীমিত আকারে চলাচল করেছে বা হোমকোয়ারান্টাইনে থাকছে তাদের বেলায় ঝুঁকি অনেক কম বলে গবেষণায় দাবি করা হয়েছে বারংবার।
বাংলাদেশে করোনার শুরু থেকে জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। করোনা এমন এক ছোঁয়াচে রোগ যে কারও হলে, তার কাছে আশপাশে যারা থাকবে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। কেউ মারা গেলে তার লাশ নিতে কিংবা সৎকার করতে স্বজনরা অনীহা প্রকাশ করলেও বসে থাকেনি পুলিশ। আক্রান্ত মাকে ফেলে রেখে গেছে সন্তান। এমন ঘটনাও ঘটেছে। এই করোনা আমাদের মানবিকতা কোথায় নিয়ে গেছে, অথচ পুলিশের সদস্যরা জিবনের ঝুঁকি জেনেও বিধিমোতাবেক লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেই যাচ্ছে।
বগুড়ায় গত কয়েকদিন ধরে করোনা নমুনা সংগ্রহ পরিক্ষা করে পজিটিভ রোগী ধরা পড়ছে বেশী। সংক্রমনের সংখ্যা বাড়ছেই। বগুড়ার পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিন রাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছে করোনার পরিস্থিতির মধ্যে।
এমতাবস্থায় পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁইয়া বিপিএম এর নির্দেশনায় এর আগে ৩২ জন পুলিশের করোনা নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সদর থানা চত্বরে করোনা নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করা হয়েছে।
সদর থানা, সদর ফাঁড়ি, ফুলবাড়ি ফাঁড়ি এবং ট্রাফিক পুলিশের ৩ জন টি.আই সহ ৪০ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ই.পি.আই. মোতাহার হোসেন, শফিউজ্জামানসহ তিন স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশ সদস্যদের পরিক্ষা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম. বদিউজ্জামান দৃষ্টি ২৪ ডটকমকে জানান, এসপি স্যারের নির্দেশনায়, পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিক্ষা করানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল থানা ও ফাঁড়ির পুলিশের করোনা পরিক্ষা করানো হবে।