সূত্র; বগুড়া প্রতিনিধি, ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম:
করোনা পরিস্থিতিতে গত ৩১ মার্চ একটি আদেশ জারি করেন নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা। ওই আদেশে বলা হয়, মার্চ মাস থেকে সব কর্মকর্তা কর্মচারীকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই তৃতীয়াংশ বেতন দেয়া হবে। ওই কর্তন করা টাকাকে তিনি ‘করজে হাসানত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এরপর গত ৩০ এপ্রিল নির্বাহী পরিচালক আরেকটি আদেশ দিয়েছেন। তাতে শিক্ষা উন্নয়ন বিভাগ, অডিট, মনিটরিং, এসকিউএআর, জিজি, জিজিআইসি, আইসিপি, আইআইসিডি এই আটটি বিভাগের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন বিহীন অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন ১ এপ্রিল থেকে ওই আটটি বিভাগের কোনো ভূমিকা নেই।
এছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধান কাটার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি ওই আদেশে বলেন, ধান কাটাসহ বিভিন্ন কৃষিকাজে নিয়োজিত থাকার মাধ্যমে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা পূরণ করবেন। কায়িক পরিশ্রম করে উপার্জন করলে ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না।
টিএমএসএস’র পরিচালক (প্রশাসন) শাহজাদী বেগম জানান, বেতনের অংশটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেয়া হবে। পরে তা প্রদান করা হবে।
আটটি বিভাগ বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সব বিভাগের এখন আপাতত কাজ নেই। তাই বন্ধ করা হয়েছে।
ধান কাটা বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিজেরাও ধান কেটেছি। টিএমএসএস’র কাজের অংশ এটা। এই ধানকাটা বলা কোনো অপরাধ নয়। বিষয়গুলো বুঝতে হবে আপনাদের।
অনেক কর্মচারী কর্মকর্তা জানান, করোনার প্রভাবে এমনিতেই জীবন জীবিকার অন্যান্য পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে এই বেতন কেটে নেয়া যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
বন্ধ ঘোষণা করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, করোনার কারণে সরকার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ টিএমএসএস’র নির্বাহী পরিচালক আদেশ দিয়েছেন, ১ এপ্রিল থেকে ভূমিকা না রাখায় বিনা বেতনে ছুটির।