স্পোর্টস ডেস্ক: ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনের খুব একটা সুযোগ হয় না ক্রীড়াবিদদের। ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবার ঘরে বসেই সিয়াম-সাধনায় ব্রত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বের মুসলিম ক্রিকেটাররা। লকডাউন না থাকলে এই সময়টাতে আইপিএল কিংবা অন্য কোনো টুর্নামেন্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তারা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া ও কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার রাবিদ ইমাম বলেন, ‘যারা রোজা রাখতে চায়, আমি নিশ্চিত তারা সুযোগটা নেবে। ঘরে থেকেই সিয়াম সাধনা ও নামাজ কালামের সুযোগ পাচ্ছে তারা। ক্রিকেটীয় কারণে প্রায়ই রোজা রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না তাদের।’
ভারতেও একই চিত্র। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন ঘরবন্দি সময় কাটছে সে দেশের ক্রিকেটারদের। এরই মধ্যে চলে এলো রমজান মাস।
তবে লকডাউনের কারণে সিয়াম পালনে একদিন দিয়ে সুবিধাই হয়েছে শাহবাজ নাদিমের। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রাঁচিতে ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় এই বাঁহাতি স্পিনারের। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘এবার আমি রমজান ভালোভাবে পালন করবো। অন্য সময় সেটা আইপিএল কিংবা অন্য কোনো টুর্নামেন্ট খেলার মাঝে পালন করতাম।’
ভারতে এবার ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারাবীহর নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঘরে। ওয়াক্তের নামাজও ঘরেই পড়তে হবে। লকডাউন কমপক্ষে ৩ই মে পর্যন্ত স্থায়ী হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে সময়টা আরো বাড়তে পারে। সরকারের সব নির্দেশনা মেনেই সিয়াম পালন করবেন নাদিম, ‘তারাবীহ ও অন্যান্য নামাজের জন্য আমি মসজিদে যাবো না, ঘরেই পড়ে নেবো।’ এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার কথা নাদিমের। তবে বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে।
ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠানও লকডাউনকে এক দিক থেকে আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন। বর্তমানে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা পাঠান বলেন, ‘এ বছর সবাই ঘরে থেকে সিয়াম পালন করবে। আমি ও আমার ভাই (ইউসুফ পাঠান) রোজা রাখবো। খেলাধুলা ও ধারাভাষ্যের ব্যস্তসূচির মাঝেও আমি রোজা রাখতাম। তবে এবার ঘরে থেকেই এটা সম্ভব হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ একটি রমজান মাসের জন্য আমি মুখিয়ে।’
ইরফান পাঠানের বাবা মেহমুদ খান একটা সময় স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। বাপ-ভাইরা মিলে করোনা কালে নামাজ-কালাম ঘরেই পড়বেন।