গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক (পাবনা)
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যৌতুক নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের সালিশ বৈঠকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেদিন যাদের নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছিলো উল্টো তাদের নামেই মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ঘটনার দিন যারা এলাকাতেই ছিলেন এমন ব্যক্তিদেরও হামলা-মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধাপ তেতুলিয়া তেলিপারা গ্রামে (২৭মে) গত বুধবার রাতে নিকটবর্তী প্রতিরামপুর গ্রামের লোকজনের সাথে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে প্রতিরামপুর গ্রামের চাঁদ আলীর মেয়ে চাম্পা খাতুনের বিয়েতে যৌতুক হিসেবে দেওয়া গরুটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার শুরু হয়। একপর্যায়ে মেয়ে পক্ষের বেলাল হোসেন, চান মিয়া, মজিবর ফকির, মানিক সরদারসহ কমপক্ষে ৬ জনকে হাসুয়া ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন জহুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, ডাবলু ও মালেকরা। আহতরা সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বজনদের অভিযোগ, আহতরা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। অথচ তাদেরকে আসামী করেই অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম (২৮ মে) বৃহস্পতিবার তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করলেন।
এদিকে ধামতেতুলিয়া তেলিপারা গ্রামের আলাউদ্দিন চান্দু ও মো. হারুন নামে দুই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শালিসের রাতে তারা আত্মীয় বাড়িতে ছিলেন। অথচ তাদেরকেও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদের সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য ফেসবুকে মানহানীকর কথাবার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, তাদের পক্ষের লোকজনও আহত হয়েছেন। তাই তারা মামলা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।