ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌস রুপাকে ফের তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেইসঙ্গে তার ব্যাংক হিসাব তলব করে সরকারি-বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদকের তলবি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রুপার রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দিলে ফের এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। সেই সঙ্গে তার ব্যাংক হিসাব জানতে দেশের ৫৬টি ব্যাংকে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।
গত মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি নোটিস আকারে জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার ঢাকার বাসার ঠিকানায়পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। চিঠিতে তাকে আগামী ২৭ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় রুপাকে তলব করে দুদক।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ দুদকের কাছে এসেছে। তবে দুদকের পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে ডেপুটি আ্যটর্নি জেনারেলকে ফোন করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া জানা যায়, রুপার ব্যাংক হিসাবের অনুসন্ধান করতে দেশের সরকারি বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান। সংস্থাটির কাছে তার বিপুল অর্থের সন্ধান থাকায় তারা রুপার ব্যাংক হিসাব জানতে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর এক নোটিশের মাধ্যমে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে। দুদকের ওই নোটিশে গত ৪ নভেম্বর হাজির হওয়ার কথা থাকলেও হাজির না হয়ে উল্টো সংস্থাটির তলব আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেন এই অ্যাটর্নি জেনারেল।
চলটি মাসের ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুপার রিট আবেদন খারিজের এই আদেশ দেন। রিট আবেদন খারিজ করলে রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের আর কোনো বাধা নেই বলে সেসময় সাংবাদিকদের জানান আইনজীবীরা।