সুমন সরদার
যে কোন বিষয়ে তর্কবিতর্ক হতেই পারে তাই বলে রাগের মাথায় খুনোখুনির ঘটনা কারই কাম্য নয়। বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও রশিদুল নামে এক ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীকে গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশ্যদিবালোকে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এবার শহরের কানছগাড়ি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় (প্রসাব) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে খাইরুল ইসলাম সুমন নামে এক ব্যক্তিকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ ও বনানী ফাঁড়ির পুলিশ যৌথ অভিযানে গাবতলী সোনারায় এলাকার সামাদের ছেলে বাবু (২৭) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম সেবা তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে সুমন কানছগাড়ী ইবনেসীনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পূর্ব পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর তার ব্যাক্তিগত গাড়ি থামিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল।
কিছুক্ষণ পরে সুমন প্রসাব করতে গেলে এসময় তুচ্ছ ঘটনা (প্রসাব) করা নিয়ে বাবুর সাথে তর্ক বির্তক হয়। একটু পরে সুমন তার গাড়িতে উঠে বসলে বাবু ও তার এক অপর সহযোগীকে ডেকে নিয়ে প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে সুমনের ওপর হামলা করে।
সুমন দৌড়ে বিএইচ ফার্মেসীতে ঢুকলে ওই সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ে উপর্যুপরি আঘাত ও রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে রক্তক্ষরণে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের বাবা রংপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত প্রধান অফিস সহকারী আঃ খালেক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী বাবুকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।