দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শনিবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গনাইঘর ইউনিয়নে,অসহায়দের জন্য ত্রাণ চাওয়া , চৌকিদার দিয়ে যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর। অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী আশেকে এলাহী জানান, আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্থানীয় ১১০ জনকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি। কিন্ত্ স্থানীয় আরও অনেকে তার আছে এলে তিনি তাদের ত্রাণ সামগ্রী দিতে না পেরে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আব্দুল হাকিম খাঁনকে অনুরোধ করেন ।
চলমান সাধারণ ছুটিতে কর্মহীন হয়ে পড়ে ৫৯ জন । আপনি একটু সাহায্য করন । ১০নং দক্ষিণ গনাইঘর ইউনিয়নে আব্দুল হাকীম চেয়ারম্যানের তার সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করেন। তারা ভাষায়, ‘তালিকা নিয়ে চৌকিদাররে দেখাইলাম। সে বলে কিছু করতে পারবে না। মেম্বারের কাছে গেলাম। সে বলে চেয়ারম্যানের কাছে যাইতে। চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার পর সে আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করছে। আমারে বলে আমি কি চেয়ারম্যান হমু নাকি, এমপি হমু নাকি। আমার এতো দরদ ক্যান। ’চেয়ারম্যান ত্রাণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তালিকা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছেও যান।
বিষয়টি নিয়ে, ফেসবুকে লেখালেখি করার অভিযোগ এনে চারজন চৌকিদার দিয়ে আশেকে এলাহীকে তুলে আনতে পাঠান চেয়ারম্যান আব্দুল হাকীম।এলাহী বলেন, ‘শনিবার (১১এপ্রিল ২০২০)দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান আমার বাসায় চারজন চৌকিদার পাঠান। তারা আইসা আমাকে বলে যাদের তালিকা দিয়েছি তাদের ত্রাণ দিবে। চেয়ারম্যান আমাকে ডেকেছে। আমি তাদেরকে তালিকা নিয়ে যেতে বললে তারা আমাকে যেতে হবে বলে জানায়। পরে আমি চেয়ারম্যানকে ফোন করি। তিনি আমাকে যেতে বলেন। ফোন চৌকিদারদের দিলে তিনি আমার সামনে চৌকিদারদের বলেন, আমার যেন পা মাটিতে না পড়ে সেভাবে তুলে নিয়ে যেতে।’ পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়রাও তার সঙ্গে চেয়ারম্যানের কাছে যান। বাড়ি থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে বন্দী করে তাকে দফায় দফায় তিন বার মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই যুবক। তিনি জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় এবং ফেসবুকে চেয়ারম্যানের পক্ষে ভিডিও বার্তা দেয়ার পর বিকাল চারটায় তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে এবিষয়ে কোনো সক্রিয়তা দেখালে তার বিরুদ্ধে পঞ্চাশটির বেশি মামলার হুমকি দেন চেয়ারম্যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মারধরের বিষয়টি মিডিয়ার কাছে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান আব্দুল হাকীম। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সেখানে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আব্দুল হাকীম বলেন, ‘আমি তাকে কেন মারব, সে আমার ভাতিজা। আমি তাকে কোনো মারধর করিনি।’ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তার বিরুদ্ধে কেন পঞ্চাশটা মামলা করব? পঞ্চাশটা মামলা করতে আমার পঞ্চাশ টাকা হলেও খরচ হবে। আমি কেন তার পেছনে টাকা খরচ করতে যাব।