মোস্তফা মোঘল, সাংবাদিক:
পুলিশের প্রতি প্রত্যাশার শেষ নাই। আমরা সবসময় পুলিশকে বন্ধু হিসেবেই পেতে চাই। কিন্তু সম্ভব হয়ে ওঠেনা। অসংখ্য ভাল কাজের মাঝেও কিছু অসাধুর বিতর্কিত কর্মকান্ড গোটা পুলিশ বাহিনীকে সবসময় জনগণের কাছে ‘মন্দ’ হিসেবেই পরিচিত করে রাখে। এরপরও আমাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ওপরই নির্ভর করতে হয়।
করোনাকালীন মহাদূর্যোগে সারাদেশেই পুলিশের ভূমিকা সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। যে পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের বাহিনী সাজার অভিযোগ রয়েছে। যে পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধী মত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যে পুলিশের বিরুদ্ধে মধ্যরাতের ভোটে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে, সেই পুলিশই করোনাকালীন সময়ে সাধারন মানুষের সব থেকে প্রিয় বন্ধু হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
করোনা মহাদূর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত মাঠে ময়দানে পড়ে থাকতে দেখেছি পুলিশ ভাইদের। জনগণকে করোনা থেকে বাঁচাতে নিজেরাই মৃত্যর মুখে পতিত হয়েছেন বারবার।
জীবনের মায়া ভুলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন বগুড়ার এরকম ৫৯ জন পুলিশ অফিসার ও সদস্য আজ আরেকবার মানবতার নয়া ইতিহাস গড়তে চলেছেন।
আজ সকালে বগুড়া থেকে ঢাকার পথে রওয়ানা করেছেন তারা। ঢাকায় গিয়ে প্রত্যেকে প্লজমা দান করবেন করোনা রোগীর চিকিৎসায়। পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা পুলিশ লাইন্সে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই বীরদের জন্য শুধু শুভেচ্ছা নয়, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা রইল। এই করোনা পুলিশ বাহিনীকে মানবতার নতুন নতুন দৃষ্টান্ত সৃস্টির সুযোগ করে দিক। পুলিশ হয়ে উঠুক জনগণের সত্যিকারের বন্ধু। আজকের এই শুভ দিনে এটাই প্রত্যাশা।