স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আাতিকুল করিম আপেলের বিরুদ্ধে আর এমপি প্রকল্পের আওতায় রাস্তায় মাটি কাটার কাজে নারী শ্রমিক নিয়োগের অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগে উঠেছে।
একই ইউনিয়নের গৌরি রানী ,ইয়াসমিন ও সিরিনা আক্তার ওই প্রকল্পের শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ না পেয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একখানা অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ কারীগন জানান, ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের মাধ্যমে গ্রামীন ক্ষতিগ্রস্থ পাকা সড়কে মাটি ভরাট করনের জন্য আর এমপি প্রকল্পের অধিনে ১০টি ইউনিয়নের ১০০জন নারী শ্রমিক নিয়েগোর জন্য সরকুলার জারী করা হয়।
ওই সরকুলার অনুযায়ী ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার আশায় গৌরি রানী, ইয়াসমিন ও সিরিনা আক্তার আবেদন করেন। তাদেরকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারী নিয়োগ বিধি অমান্য করে বানিয়াযান গ্রামের শুক চান মন্ডলের স্ত্রী প্রভাতী রানীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রভাতী রানীর বয়স ৫৩ বছর হলেও জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স জালিয়াতী করে নারী শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। আরএমপি প্রকল্পের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সরকারী ভাতা ভোগী কোন ব্যক্তি এই প্রকল্পের নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নয়। অথচও বানিয়াযান গ্রামের মৃত বাবুলের স্ত্রী আলেয়া বেওয়া বিধাব ভাতা সুবিধা পাওয়ার পরও তাকেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পের শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ১০০ জন নারী শ্রমিক হিসাবে আবেদন করেছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী তিনি মেম্বাদের সাথে আলোচনা করে তাদের পছন্দের ১০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাবে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মোহন্ত বলেন, আরএমপির নারী শ্রমিক নিয়োগ কিভাবে হয়েছে তা তিনি জানেন না। তাবে এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।