বগুড়ার ধুনটের এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ তারেক ওরফে হেলালালের বিরুদ্ধে এ্যানের ৪বান্ডিল ঢেউ টিন ও গৃহ নির্মানের ১২ হাজার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বহুতল পাকা দালানের মানিক হয়েও চেয়ারম্যান অসহায় দুস্থ সেজে এান সামগ্রীর টিন ও টাকা আত্নসাতের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সরেজমিনে অনুসান্ধানে উপজেলা ত্রান ও পুনবাসন কর্মকর্তা অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০২০ /২০২১ অর্থ বছরে এ্যান ও পুনবাসন অধিদপ্তর থেকে ধুনট উপজেলায় গরীব ও দুস্থ মানুষের গৃহ নির্মানের জন্য ১০৩ বান্ডিল ঢেউ টিন ও নগদ ৩ লাখ ৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মোহন্ত গত ২৯ জুন স্বাক্ষর করে ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৮৯ জন উপকার ভোগীর নাম তালিকা করেছেন। ওই তালিকার ১৭ নং ক্রমিকে এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম, এ তারেক পিতা ইদ্রিস আলী ফকির গ্রাম রাঙ্গামাটি এর নামে ৪ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহ নির্মান খরচের জন্য ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ জুন এম এ তারেক নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রে ফটোকপি জামা দিয়ে ঢেউটিন ও টাকা বিতরনের ভাউচার ( মাষ্টাররোল) স্বাক্ষর করে ৪ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ টাকা উত্তোলন করেছেন।
এলাঙ্গী বাজারে বহুতল পাকা দালানের মালিক হয়েও চেয়ারম্যান এম এ তারেক গরীব দুঃস্থদের জন্য সরকারী বরাদ্দের ৪ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহনির্মানের ১২ হাজার টাকা আত্নসাতের বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় একই ইউনিয়নের মেম্বার মাসুদ রানা, তোজাম্মেল হক ,এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা রাসেল মাহমুদ,ফজলে খোদা বাবলু, জয়নাল আবেদীন এলাঙ্গী ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সুমন সরকার সহ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা প্রতিকার চেয়ে ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ তারেক আত্নসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৪ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ১২ হাজার টাকা নিজে স্বাক্ষর দিয়ে উক্তোলন করে এলাঙ্গী বাজার মসজিদে দিয়েছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে গরীব দুঃস্থ সেজে উপকার ভোগীর হিসাবে এানের টিন ও টাকা আত্নসাত করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, চেয়ারম্যান এম এ তারেক একটি মসজিদের নামে ত্রানের ঢেউ টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ নেওয়ার কথা ছিল । কিন্ত যদি নিজেই উপকার ভোগী সেজে ঢেউটিন ও নগদ টাকা উত্তোলন করে থাকে তাহলের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।