আব্দুল বারীক, নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে পল্লিতে শখের পাখি পালন করে ইতোমধ্যেই এলাকার অনেকেরই দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। নন্দীগ্রাম উপজেলার ১ নং বুড়ইল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী আইলপুনিয়া গ্রামের সাবেক পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক নজিবুল্লাহ মজনু।
তিনি তার নিজ বাসার বারান্দার এক পার্শ্বে ১৫ টি খাঁচায় পুষছেন সৌখিন পাখিগুলো। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ টি খাঁচায় ১ জোড়া করে মোট ৩০ টি পাখি রয়েছে। বর্তমানে দুই প্রজাতির পাখি পালন করছেন, এদের মধ্যে রয়েছে বাজারিকা ও প্রিন্স।
পাখি পালনকারী নজিবুল্লাহ মজনুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, মুলতঃ আমার স্ত্রী প্রাপ্তির দীর্ঘদিনের শখ ছিল পাখি পালনের, সেই শখের বশেই পাখি পালনের প্রক্রিয়া শুরু। এখন আমার বাসায় সর্বমোট ৩০ টি পাখি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১টি পাখি প্রতি দেড় মাস পর পর ৫-৭টি করে ডিম দেয়, ইতোমধ্যে ৫ জোড়া পাখি ডিম দিয়েছে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে। প্রতিটি বাচ্চাই এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে।
নজিবুল্লাহ মজনুর স্ত্রী প্রাপ্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখিগুলোর অনেক যত্ন নিতে হয় যেমন-পানি পরিবর্তন করা, খাবার দেওয়া, খাঁচা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা। প্রতি জোড়া পাখির মূল্য ১২০০/১৩০০ টাকা এবং বাচ্চাগুলো ৩০০/৪০০ টাকা। এই সৌখিন পাখিগুলোর খাবারের মধ্যে রয়েছে, ছোট ধান, কাউন, সূর্যমূখী ফুলের বীজ, কচি কলমি শাক ইত্যাদি। তিনি আরও বলেন, প্রথমে কয়েকটি পাখি দিয়ে শুরু করি এখন প্রায় ৩০ টির মতো পাখি রয়েছে। পাখি পালন আমার শখ সেই চিন্তা মাথায় রেখেই এমন উদ্যোগ গ্রহন করি, আমার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন জাতের আরও সৌখিন পাখি বাড়ানোর আর সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।