স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় অনৈতিক কাজে সহায়তার দায়ে কথিত সাংবাদিক নুরনবীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন শারিনা ইয়াছমিন নামে এক নারী।
জানাগেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার মহাস্থান গ্রামের মৃত নুর ইসলামের পুত্র মোত্তাকীন ৬/৭ বছর পূর্বে মহাস্থান গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে শারিনা ইয়াসমিন ঊষাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের ঘরে পর পর দুটি সন্তান জন্ম গ্রহন করে।
শারিনা জানান, মোত্তাকীন একজন দুঃশ্চরিত্রবান। সে আমাকে ছাড়া বিভিন্ন ধরণের মেয়ে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে দৈহিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি আমি জানতে পেয়ে আজ রবিবার (১৪মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদরের বাঘোপাড়া দক্ষিণ পাড়ার জনৈক আব্দুল জলিলের বাড়ীতে বিবাহ বহির্ভুত ভাবে সদরের দশটিকা গ্রামের মুকুল হোসেনের জনৈক একজন মেয়েকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আমি তাকে হাতে নাতে আটক করি, সে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার সাথে থাকা আমার মামাকে মারপিট করে আহত করে। তারপরও আমি তার শাস্তির জন্য সদর থানা পুলিশের হাতে সোপোর্দ করি।
মোত্তাকীন, ঐ মেয়ে, ও তাদের সহযোগী মহাস্থানের কথিত সাংবাদিক নুরনবী রহমানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের কাছে আশা করছি আমি সঠিক আইনী সহযোগীতা পাব ও তার দৃষ্টান্তমুলক বিচার হবে।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর বলেন, শারিনা যাতে সঠিক আইনী সহযোগীতা পায় তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। ভুক্তভোগী শারিনা ইয়াসমিন উষা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের কাছে দুঃচরিত্রবান মোত্তাকীনের কঠিন শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য তথাকথিত সাংবাদিক নুরনবী রহমান, মহাস্থান প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, ৭১ অনলাইন টিভি, সরেজমিনসহ বিভিন্ন অখ্যাত পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। এলাকায়,এমন কোন হীন অপরাধ নাই যে যার সাথে সে জড়িত নয়।
নরুনবীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেকেউ অভিযোগ করতেই পারে? বিষয়টি আইনী মোকাবিলা করা হবে।