নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ায় গত ২৪ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রান গেল ৫ জনের। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ১ জন।
রোববার (২১ জুন) রাত ১০টায় এই নিশ্চিত করেছন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ।
করোনায় আক্রান্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-উপ প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৫৪), শিক্ষক সাফিউল আলম (৫৯), জাহনারা বেগম (৮০), জয় গোবিন্দ (৭০) এবং তারেক হোসেন (৪০)। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ট্রাক শ্রমিক পরশ (৩৫)।
প্রকৌশলী সালাউদ্দিন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলায়। তিনি ঢাকা সদর দপ্তরের রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। লকডাউনের পর থেকে তিনি বগুড়ায় পরিবারের সাথেই থাকতেন। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন।তিনি পরীক্ষার জন্য টিএমএসএস এ গত ৩১ মে নমুনা দেন। পরদিন ১ জুন সেই নমুনার ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে ৪ জুন বিকেল ৪টার দিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১৭দিন চিকিৎসাধীন থেকে রোববার সকালে তিনি মারা যান। সালাউদ্দিনের দুই ছেলে করোনায় আক্রান্ত হলেও তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সাফিউল আলম (৫৯) নামে এক শিক্ষক করোনায় মারা যান।
সকাল ১১টার দিকে মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত জয় গোবিন্দের। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
বিকেল ৩টার দিকে মারা যান জাহানারা বেগম(৮০)। তার গ্রামের বাড়ি আদমদিঘী উপজেলায়। তিনি বসবাস করতেন শহরের জলেশ্বরিতলায় গত ১৩ জুন শ্বাস কষ্ট নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইশোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। পরিক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিএমএসএস হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান করোনায় আক্রান্ত তারেক হোসেন (৪০)। হাসপাতালের মুখপাত্র আব্দুর রহিম নিশ্চিত করেছেন। তারেক হোসেন পরিবহন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বাড়ি শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামে। ১৬ জুন তিনি করোনাক্রান্ত হন। বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
দুপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান দুপচাচিঁয়া উপজেলার বাসিন্দা পরশ।