একে আজাদ:
করোনা কালে বগুড়ার সম্মুখ এক সাহসী যোদ্ধার নাম ডা. শফিক আমিন কাজল। যিনি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক।
নানা প্রতিবন্ধকতার পরও কেবলমাত্র আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করে করোনা পজেটিভ এবং উপসর্গ নিয়ে নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগিদের মাঝে মহামানবে পরিনত হয়েছেন।
তার এই কর্মযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাও।
অবশেষে রবিবার সম্মুখ এই করোনা যোদ্ধা ডা. শফিক আমিন কাজল করোনায় পজিটিভ। আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুধু যে চিকিৎসা কাজেই তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তা নয়, বরং তিনি এই ইউনিটে করোনা উপসর্গে ভর্তির পর কেউ মারা গেলে এলাকায় যেন জানাযা নিয়ে কোন ঝামেলা না হয় একারণে হাসপাতাল চত্বরেই করেছেন সেই জানাযার ব্যবস্থা। আর রোগীর সঙ্গে হাসপাতালে আসা স্বজনরা যেন অনাহারী না থাকে সেই উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি।
নিজে উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিক রোগী হিসেবে করোনা ঝুঁকিতে থেকেও হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে ছুটিতে যাননি, বরং দেশের এই ক্রান্তিকালে যেন তাঁর ইউনিটের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মিরা মনোবল না হারায়, একারণে সর্বদায় তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন। ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তাদের কোয়ারেন্টাইন সময় যেন সুবিধাজনক হয় এজন্য একটি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বেসরকারি আবাসিক হোটেলেরও বন্দোবস্ত করেছেন। আর তার কর্ম এলাকার বাইরেরও করোনা সন্ধিগ্ধ রোগী বা রোগীর স্বজনদের এখন ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন ডা. কাজল।
এছাড়া গনমাধ্যম কর্মীদের ২৪ঘন্টা করোনা সংক্রান্ত সকল আপডেট তিনিই সরবারহ করতেন।
ডা. শফিক আমিনের করোনা আক্রান্তের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শতশত শুভাকাঙ্ক্ষী দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া প্রার্থনা করেছেন।