নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ায় খুন-ধর্ষন, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে গত ২৪ ঘন্টায়।আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বগুড়ায় পুলিশের অব্যাহত অভিযানে শহরের বিভিন্নস্থান থেকে হত্যা চেষ্টা, ধর্ষণের চেষ্টা এবং মাদকসহ এদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা সুত্রে জানাগেছে, শহরের দত্তবাড়ি ফিলিং স্টেশনের সামনে মধ্যেরাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে, পুলিশ ৩ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উত্তর চেলোপাড়ার জহুরুল সরকার(২৫), খাজা(২০), সাদ্দাম @ জিদান (২৬)। এস.আই মন্তাজ আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাদের গ্রেফতার করে। এসম তাদের কাছ থেকে চাপাতি ও ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে শহরতলীর গৌরিদাসপুর এলাকায়, ভোরের দিকে মা-বাবা জমির ক্ষেতে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে ১৬ বছরের মেয়েকে একলা পেয়ে ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে লম্পট আজিজুর রহমান @রাকু(২২) শয়ন ঘরে ওই মেয়েকে জাপটে ধরে সম্ভ্রমহানীর চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে লম্পট আজিজুর পালিয়ে যায়। এঘটনায় মেয়ের মা,বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে উপ পরিদর্শক (এস আই) খোরশেদ আলম তাকে গ্রেফতার করে।
অপরদিকে, ঢাকা থেকে গাইবান্ধা যাওয়ার পথে জান্নাত-সৈকত পরিবহনের সুপারভাইজার ও হেলপাররা যাত্রীদের হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট করার অভিযোগে পুলিশ ওই বাসের স্টাফদের গ্রেফতার করেছে। অতিরিক্ত যাত্রী তোলায়, গাইবান্ধার সাইদুলসহ কয়েকজন যাত্রী তাদের ভাড়ার টাকা ফেরত চাইলে ওই পরিবহনের স্টাফরা তাদের কয়কে দফা মারপিট করে। বাসটি ঠনঠনিয়া স্ট্যান্ডে পৌঁছলে, স্টাফরা আবারও তাদের মারপিট করে। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপারভাইজার সুমন মিয়া, হেলপার শহিদুল ও আলামিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইয়াবাসহ দুজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরতলীর শেখেরকোলা স্কুলের সামনে ইয়াবা বিক্রি কালে পাভেল (৩৫) কে ২২ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে এস.আই আলমগীর হোসেন, এছাড়াও শহরতলীর এরুলিয়া জিলাদার পাড়া থেকে একরাম হোসেন (৩৫)কে ৩০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে এস. আই নুর আলম।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির দৃষ্টি২৪ ডটকমকে জানান, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া বিপিএম বারের নির্দেশনায় বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে। আরও অভিযান চলবে, চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, মাদকাসক্ত ও কারবারিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।