আমিন ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ায় বিভিন্ন উপজেলায় পৃৃৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শাজাহানপুর, ধুনট, কাহালু এবং সারিয়াকান্দিতে পৃথক বজ্রপাতে তারা মারা গেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে কাহালু উপজেলার এরুইল গ্রামে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ওই সময় এরুইল বাজারের পাশে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ধান শুকাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতে মোকলেছার রহমান ও একই গ্রামের হাসান আলী (৩৫), রায়হান (২৮) সহ ৪ কৃষক আহত হন।
দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মোকলেছার রহমান সহ ২ কৃষককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত হাসান আলীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রায়হানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত এক কৃষকের নাম জানা যায়নি।
কাহালুর মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে বিকেল ৫টার দিকে শাজাহানপুর, ধুনট এবং সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার হরিণগাড়ি গ্রামের মৃত মোসলেমের ছেলে নুরুল ইসাম খুট্ট (৪৬), ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেওড়িয়া গ্রামের দেরাস আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫৫) এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চরকুড়িপাড়া গ্রামের বুলু মণ্ডলের ছেলে লেবু মণ্ডল (৩৫)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে শাজাহানপুরের হরিণগাড়ি গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম খুট্ট জমিতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি। ঘটনাস্থলে তিনি
মারা যান। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে ধুনটে বিকেলে ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আব্দুস সালাম গরুর জন্য মাঠ থেকে ঘাস নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনার দুর্গম চরের চর কুড়িপাড়া গ্রামে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতের আঘাতে লেবু মণ্ডল ঘটনাস্থলেই মারা যান। বজ্রপাতের আঘাতে তার একটি গরুও গুরুতর আহত হয়।