স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী মদিনা খাতুনকে হত্যার দায়ে আব্দুল কুদ্দুস নামরে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল- ২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এই রায় দেন।
এ ঘটনায় মামলার অন্য আসামী জাহানারা বিবিকে খালাস দেন আদালত। এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে মদিনা খাতুনকে নাটোরের সিংড়ার ভোগা গ্রাম থেকে প্রলোভণ দেখিয়ে অপহরণ করে আব্দুল কুদ্দুস। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে প্রথম স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ি কাহালুতে বসবাস করেন তারা।
বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে যৌতুকের জন্য স্ত্রী মদিনাকে টাকা আনতে বলেন। কিন্তু মদিনার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক দেয়ার মত পারিবারিক অবস্থা ছিল না। কিন্তু স্বামী আব্দুল কুুদ্দুস বারবার যৌতুকের টাকার দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতো।
এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে সাথে নিয়ে স্বামী মদিনা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেন। ২০১৬ সালের ২০ জুলাই বগুড়ার কাহালু উপজেলার লহ্মীম-প গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মদিনার বাবার বাড়ির লোকজন মৃত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে ছুটে আসে। সে সময় আসামী আব্দুল কুদ্দুস ও তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা বিবি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানাতে মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলা করেন মদিনার মা রোকেয়া বেগম। পরবর্তীতে ১৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এই রায় দেন আদালত।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ মোঃ আশেকুর রহমান সুজন সন্তুষ্টি জানালেও অসন্তোষ জানিয়েছে আসামীপক্ষ অ্যাড. মোসলেম উদ্দিন লিটন। তবে উচ্চ আদালতে যেতে চান তারা। রাষ্ট্রপক্ষের আশা, উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে।