শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারি আলী আতায়োর ফজুকে কলেজ কমিটির সভাপতি বানাতেই যুবলীগ নেতা আলী ইমাম ইনেকীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন।
শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল বন্দরে এলাকাবাসির আয়োজিত মানবন্ধনে এসব কথা বলেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী।
এর আগে গত বুধবার গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন, কলেজ কমিটিতে সভাপতির নাম প্রস্তাব না করায় যুবলীগ নেতা ইনোকী ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দেন এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে কর্ণপাত না করলে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর আবারও চাঁদার টাকা দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে (অধ্যক্ষ) ধাক্কাধাক্কি করে। ঘরের জিনিসপত্র তছনছ এবং তুলে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুমের হুমকি দেয়। এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষের এমন অভিযোগের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দাদের আয়োজনে মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী।
এসময় ইনোকী বলেন, আসন্ন গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন। তাই প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র করছেন। এছাড়া গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অধ্যক্ষ তার নাম বাদ দিয়ে সভাপতি পদে গোহাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবশকারী আলী আতোয়ার ফজু, অনুপ্রবেশকারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক এবং আতাউর রহমান নামের অশিক্ষিতদের সভাপতির প্রস্তাব করেন। এ ব্যাপারে গত ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কলেজের গভর্নিং বডিতে এসব অনুপ্রবেশকারিকে কেন ঠাঁই দেয়া হলো? তার প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে (ইনোকী) মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসময় মানবন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, গোহাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভহ-সভাপতি দিনেশ চন্দ্র পাল, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক তাজনুর রহমান শাহীন, গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ কমিটির সাবেক সদস্য সন্তোশ কুমার প্রমূখ।