ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সুপরিচিত পৃষ্ঠপোষক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন বাংলাদেশ লি.। প্রায় সব খেলাতেই তাদের সম্পৃক্ততা দেখা যায়। বিশেষ করে দেশের ক্রিকেটে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনেক বেশি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেখানে প্রচার একেবারেই কম সেখানেও তাদের স্পন্সরশিপ থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট মাঠে নেই। দেশে এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সবধরনের ক্রিকেট। তাই ওয়ালটনের প্রচারও হচ্ছে না। তবে এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় প্রতিষ্ঠানটি।কারণ যতটা না ওয়ালটনের ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ক্রিকেটারদের। তাই বরাবরের মত দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের পাশে থাকার কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সজিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম।
হাকিম বলেন, ‘দেখেন, ওয়ালটন বরাবরই বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাশে ছিল, আছে এ দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। হ্যাঁ, আমাদের প্রতিষ্ঠানেরও প্রচার হয়েছে। তা যদি খুব একটা নাও হয় তবুও দেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে পাশে থাকার লক্ষ্য আমাদের। যে কারণে প্রচার কম হলেও আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময় অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি, করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্টদের। কারণ মাঠে খেলা গড়ালে আবার প্রচার হবে। তখন আমরা টাকা দিবো। এখন আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। তাই বিসিবি যদি চায়, তালিকা দেয় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত বিপদগ্রস্ত ক্রিকেটার, কোচ বা সংশ্লিষ্টদের।’
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন করোনা মোকাবেলায় এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের শ্রমিক কল্যাণে দেয়ার জন্য ৮ কোটি টাকার চেক প্রস্তুত রেখেছে তারা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে তারা কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে। দেশের সকল স্থানে যেখানে ওয়ালটনের আউটলেট আছে সেখানে দরিদ্রদের সাহায্য করছে। শুধু তাই নয়, নিজেদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের রক্ষার্থেও ব্যয় করেছে কোটি টাকা।
করোনা চিকিৎসায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভ্যান্টিলেটর তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি বলে জানিয়েছেন উদয় হাকিম। তবে ক্রিকেটারদের জন্য এখনও কেন সরাসরি তারা কিছু করেনি, তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞাপনের জন্য স্পন্সর করি। এতে আমাদের প্রচার হয়। তবে সেটি আমরা করি বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মাধ্যমে। যদিও আমরা বিসিএলে একটি দল চালাই সেখানেও বিসিবির সহযোগিতা থাকে। কারণ আমাদের সঙ্গে সরাসরি ক্রিকেটারদের সম্পর্ক নেই। সবাইকে চিনিও না। তাই বিসিবি যদি একটা তালিকা করে দেয়, বা তারা যদি বলে আমাদের সাহায্য প্রয়োজন তাহলে আমরা এগিয়ে আসতে পারি। কারণ তারাই বলতে পারবে তৃণমূলে যে সব ক্রিকেটার আছে বা যে সব কোচ বা ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা আছে তাদের কী অবস্থা! সেটি তৃতীয় বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগ হোক। যেখানেই প্রয়োজন বিসিবি চাইলে পাশে থাকবে ওয়ালটন পরিবারকে।’