মুনিরুজ্জামান মুনির, নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি:
বৈশাখ মনেই ইরি-বোর ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখে বগুড়া তথা নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা। আর মাত্র ক’দিন পরই ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ার কথা। ধান ঘরে তোলার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কৃষকরা। প্রতিটি কৃষক পরিবার মাঠের পাকা ধান নিয়ে স্বপ্ন দেখছে । এ ধান দিয়েই পুরণ হয় তাদের অনেক স্বপ্ন। কিন্তু হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের লালিত স্বপ্ন মাঠেই ঝড়ে গেল।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ শিলাবৃষ্টি অল্প সময় স্থায়ী হলেও এতে পাকা ইরি-বোর ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দলগাছা, ডেরাহার, ভাদুম, কদমা, কৈডালা ভাটরা ইউনিয়নের ভরতেতুলিয়া, ভড়-মাজগ্রাম, রায়পাড়া সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এ শিলাবৃষ্টি দেখে কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বৃষ্টি শেষে মাঠে গিয়ে ধানের ক্ষতি দেখে তারা আর্তনাদ করতে থাকে। এ ধানকে ঘিরেই তাদের যত স্বপ্ন। এ উপজেলায় এবার ২০ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। উপজেল ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিলাবৃষ্টিতে ভরতেতুলিয়া এলাকায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এক্ষতি পুশিয়ে নিতে কৃষকদের হিমশিম থেকে হবে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবু জানান, উপজেলায় মোট ২০ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তবে আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে কৃষকরা ভালোভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবে ইনশাল্লাহ।