বিধবা নিলোকী রাণীর গায়ে কম্বল জরিয়ে দেন শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু-ছবি দৃষ্টি২৪
স্টাফ রিপোর্টার:
এখন শীতের মৌসুম। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় প্রভাবিত সমগ্র দেশ। শীতের এই আগমন ডেকে আনে গরিব– অসহায় মানুষের বিপৎসংকেত। শীতকাল গরিব মানুষের জন্য দুর্দিনও বটে। কেননা, উত্তরের সেই হাড়কাঁপানো শীতে গরিব–অসহায় মানুষের পক্ষে জীবনযাপন খুবই দুষ্কর। শীতের সঙ্গে লড়াই করে তাঁদের বেঁচে থাকতে হয়। শীতকালে তাঁদের অসামর্থ্যের কারণে তাঁরা খুব কষ্টে জীবন যাপন করেন।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর গ্রামের সওরোর্ধ সহায় সম্বলহীন বিধবা নিলোকী রাণী। একটি ছাপড়া ঘরে বসবাস করেন। বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়া নিকোলী ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।মাঝে মধ্যে অনাহারী অনিদ্রায় থাকতে হয় তাকে। তারমধ্যে শীতের দাপটে কাতর রাতে খড়ের বিছানায় ছেঁড়া কাঁথা ও খড় গায়ে জড়িয়ে থাকেন। উপজেলা প্রশাসনে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে শীতে গায়ে দেওয়ার মতো শীতবস্ত্র জোটাতে পারেনি, এমনি জানান তিনি।
এমন সংবাদ শোনার পর,গতকাল রবিবার সকালে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহবার হোসেন ছান্নু সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। আর্থিক সাহায্যার পাশাপাশি নিজ হাতে নিলোকী রাণীকে শীতবস্ত্র (কম্বল) তার নিজ ( উপজেলা চেয়ারম্যান) নিজ হাতে ওই বিধবার গায়ে জড়িয়ে দেন।
ওই বিধবা বলেন, শীতের কম্বল পেয়ে অসহায় নিলোকী রাণী বেশ খুশি। তিনি জানান,রাতে কনকনে শীতে রান্না করতে পারি না,আজকেই না খেয়ে আছি। চেয়ারম্যান সাহেবের বাসায় সকালে খাওয়ে একটি কম্বল তুলে দিলেন।
শুধু বিধবা নিলোকী রাণীই নয়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৃত অহায়-দারিদ্র শীতার্তদের খুঁজে , তাদের তালিকা তৈরি করে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত শীতবস্ত্র বিতরন করছেন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু বলেন, মনবতা আর সেবা। এনিয়ে কাজ করে অন্তত যে আত্মতৃপ্তির সৃষ্টি হয়, সেটাই পরম পাওয়া বলে আমি মনে করি। তিনি আরও বলেন, করোনা কালীন সময়ে যেমন উপজেলার একটি গরীব মানুষও না খেয়ে থাকেনি, তেমনি এই চলমান শীতেও কোন দারিদ্র বা অসাহায় মানুষের শীতবস্ত্রের ঘাটতি পরবেনা ইনশাল্লাহ।