শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ফেসবুক প্রোফাইল লক করে রাখা হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফ্রেন্ড ছাড়া কেহই তার প্রোফাইল দেখতে পারছেন না। এতে করে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ও তথ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসি।
সরকারী অফিসের ফেসবুক প্রোফাইল লক করে রাখার পেছনে কোন অসৎ উদ্যেশ্য আছে কিনা এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
জানাগেছে, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাজাহানপুর’ নামের ফেসবুক আইডি’র প্রোফাইল লক করে রেখেছেন ইউএনও মাহমুদা পারভীন। ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যক (৫ হাজার) ফ্রেন্ড ছাড়া কেহই তার প্রোফাইল দেখতে পারছেন না। এতে করে তথ্য অধিকার ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসি।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাদশা আলমগীর জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুক আইডির ফ্রেন্ড তালিকায় নেই। নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুক প্রোফাইল লক থাকায় তার টাইমলাইনে ঢুকতে পারছেন না। এমনকি স্কিনশর্ট পর্যন্ত দেয়া যাচ্ছে না। সরকারী অফিসের ফেসবুক প্রোফাইল লক করে রাখার পেছনে নিশ্চয় কোন অসৎ উদ্যেশ্য রয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় তিন লক্ষ মানুষের বসবাস। প্রোফাইল লক করে রেখে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ও তথ্য অধিকার থেকে উপজেলাবাসিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম শাজাহানপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মো: সাজেদুর রহমান সবুজ জানান, তিনি ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাজাহানপুর’ নামক ফেসবুক আইডি’র ফ্রেন্ড ছিলেন। কিছুদিন আগে ওই আইডিতে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের একটি পোষ্টে ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস কাদের নিয়ে পালিত হলো। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা কি বিষয়টি জানে?’ এমন কমেন্ট করার কারণে তাকে আনফ্রেন্ড করা হয়। প্রোফাইল লক থাকায় বর্তমানে তিনি তথ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তখন শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেসবুক প্রোফাইল লক করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভীনের সাথে তার সরকারী মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।