বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় একজনকে মারধর করে সোয়া দুই লাখ টাকার ডিম লুট করে ডাকাতরা। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার পথে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ডিম লুটের সাথে জড়িত ৩ ব্যক্তি।
মঙ্গলবার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার দিনগত রাতে শাজাহানপুর উপজেলার নাদুরপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আবু সাইদ শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ডিম লুট হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, পাবনার আতাইকুলা উপজেলার শামসুল হক (৩২), গাজিপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা ও পিকট্রাক চালক মোকাররম হোসেন (২৫) এবং নাটোরের সদর উপজেলার তারেক হোসেন সরদার (২০)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আবু সাইদ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রংপুরে ডিম বিক্রির করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জ মোড় এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে একটি ছোট ট্রাকের সাথে ভাড়ার চুক্তি হয়। রাত আটটার দিকে সেই ট্রাকের চালক ডিমসহ তাকে নিয়ে রওয়ানা দেন। এক পর্যায়ে গাড়িদহ এলাকায় এলে ট্রাকের চালক মোকাররম জানান জমাদার পুকুরের এ পথ দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি পৌঁছা যাবে। সাইদ সম্মতি দিলে তারা রওয়ানা দেন।
কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর শাজাহানপুর উপজেলার নাদুরপুকুর গ্রামে এসে ইঞ্জিন খারাপ হওয়ার অজুহাতে ট্রাকটি দাঁড় করায়। এ সময় ট্রাক থেকে বের হওয়া মাত্র পিছন থেকে একজন গামছা দিয়ে সাইদের চোখ, হাত বেঁধে ফেলেন। এর পর তাকে এলোপাথারি মারধর করে দড়ি দিয়ে তার গলায় ফাঁস দেয়া হয়। এ সময় সাইদ মারা যাওয়ার ভান করলে ডাকাতরা তাকে ফেলে রেখে চলে যান।
পরে দড়ি খুলে মহাসড়কে এলে টহল পুলিশের গাড়ি দেখে সেটাকে থামান সাইদ। ঘটনা শোনার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খবর পাঠায়ে দেয়।
এর এক পর্যায়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলার খেজুরতলায় পুলিশ ডিমসহ ট্রাকটি আটক করে। খবর পেয়ে আবু সাইদ ও শাজাহানপুর থানা পুলিশ সিংড়া গিয়ে ডিম ও ট্রাকের লোজনকে শনাক্ত করেন। এ সময় ৩৯০ বান্ডিলের প্রায় দুই লাখ সাড়ে ১৬ হাজার টাকার ডিম উদ্ধার হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসার পর মামলা দেয়া হয়।
শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামিম হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।