নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিন কিলোমিটার কাদামাটির পথ পেরিয়ে খাবার সামগ্রী নিয়ে নিজেই হাজির হলেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু।
উপজেলার খড়ণা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল কলমাচাপোর গ্রাম। লাল মাটির পথ। সামন্য বৃষ্টি এলেই চলাচল অযোগ্য হয়ে যায় এই অঞ্চলের সড়ক গুলো।
কয়েকদিন আগে করোনার সংক্রমন রোধে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় না হওয়া নির্দেশ দেয় সরকার। এছাড়া গত মঙ্গলবার থেকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। এরই মধ্যে ঘরে জমানো যা চাল ছিল, গেল কয়েকদিনে তা শেষ হয়ে গেছে। জমানো টাকাও নেই অনেকের। যে চাল কিনে খাবেন। আবার মানুষের কাছে হাত পাতবেন, সেই সুযোগও নেই।
এর ফলে ওই গ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চলমান লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এমন খবর পেয়ে নিজস্ব অর্থায়নে খাবার সামগ্রী নিয়ে গ্রামেবাসির দুয়ারে হাজির হন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু।
নিজ হাতে ওই গ্রামের কর্মহীনদের মাঝে খাবার সামগ্রী তুলে দেন তিনি।
এসময় তার সাথে ছিলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান লিটন, যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম।
এনিয়ে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু বলেন, করোনা ভাইরাস এর সংক্রামনকে একটি বৈশি^ক প্রাদুর্ভাব হিসেবে ঘোষনা করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মীসহ বিত্তবান ব্যক্তি নিজ এলাকার জনগণের পাশে থাকার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কর্মহীন মানুষের পাশে আছি এবং করোনা জয় না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরও বলেন, করোন ভাইরাসে আতংকিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা নিজেরা সর্তক থাকলেই এ ভাইরাস বিস্তার লাভ করতে পারবে।
প্রঙ্গগত, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে উপজেলাবাসিকে নিরাপদে রাখতে কৃষকদের একত্রিত করে তাদের মাধ্যমে জিবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম শুরু করেছেন গ্রামে গ্রামে। এছাড়া নিজ অর্থায়নে দুই হাজারেরও বেশি কর্মহীন মানুষকে খাবার সামগ্রী, ট্রাক ভর্তি সবজিসহ স্যানিটাইজ, মাস্কসহ জিবানুনাশক বিররণ করেছেন। এছাড়ায় সহায়তার কার্যক্রম অব্যহত রেখে চলেছেন।