নিজস্ব প্রতিবেদক
ধুনট উপজেলা দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাধারন দলিল লেখকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ধুনট উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলহাজ মো. ওহিদুল ইসলাম। আজ রবিবার সকাল ১১টায় তিনি বগুড়া প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। যার শাখা-প্রশাখা সারা বাংলাদেশে বিরাজমান। কেন্দ্রীয় কমিটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের সমস্ত দলিল লেখক সমিতি ৪টি স্তরে বিভক্ত, এগুলো হলো ১, উপজেলা দলিল লেখক সমিতি ২, জেলা দলিল লেখক সমিতি, বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতি এবং ৪, কেন্দ্রীয় দলিল লেখক সমিতি। এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় কমিটির সমন্বয় কর্তৃক জেলা দলিল লেখক সমিতির কমিটি অনুমোদিত হয় এবং জেলা কমিটির মাধ্যমে উপজেলা কমিটি নির্ধারন করে পরিচালিত হয়ে আসছে। এসময় তিনি আরো বলেন দীর্ঘদিন ধুনট উপজেলা কমিটি না থাকায় বিগত ১৯-০১-২০২০ইং তারিখে বগুড়া জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কর্তৃক ১৬ সদস্যের (২বছর মেয়াদী) একটি পুর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদিত হয়ে সমিতির কার্যক্রম শুরু করা হয়। সমিতির সকল কার্যাদি সুষ্ঠ ও সু-শৃংঙ্খল ভাবে পরিচালিত করার লক্ষ্যে গত ১৯-০২ ইং তারিখে কমিটির-রেজিস্ট্রি অফিসের সাধারন সম্পাদকের সেরেস্তায় সাধারন সভা আহবান করা হয়। উক্ত সাধারন সভা সুষ্ঠভাবে চলাকালীন সময়ে আনুমানিক দুপুর ১২টার সময় আকস্মিক ও অর্তকিতভাবে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অফিস ও সংগঠন থেকে ৫/৬ বছর পুর্বে বহিস্কৃত তথাকথিত ধুনটের আলোচিত সন্ত্রাসী বহু অপকর্মের হোতা সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে আব্দুস সাত্তার, সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন সন্ত্রাসীরা দেশিয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সভায় হামলা করে উপস্থিত দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ সাধারন দলিল লেখক দেরকে লোহার রড, চা-পাতি, রাম, দা ও হাতুরী দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করতে থাকে । এসময় তাদের মারপিটে অনেক দলিল লেখক গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। তারা প্রাণ ভয়ে চিৎকার চেচামেচি ও ছোটাছুটি করতে থাকা কালে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চেষ্টা করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ও মিন্টু মিয়া নামক ২ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অত:পর একটি অশুভ শক্তির প্রভাবে মিন্টু মিয়াকে ছেড়ে দিয়ে নির্দোষ দলিল লেখক ফজলুল হক কে থানায় আটক রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরপর থেকে সন্ত্রাসীর তৎপরতা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারা একের পর এক বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধামকি প্রদান করা সহ প্রাণ নাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন মামলা মোকর্দ্দমায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া সহ দলিল লেখক পেশা করতে দেয়া হবে না মর্মে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। উক্ত সন্ত্রাসীর দারা যেকোন মুহুর্তে চরম শান্তি ভঙ্গ ও খুন জখম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় বগুড়া জেলা ও ধুনট উপজেলা পর্যায়ের দলিল লেখক বৃন্দ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরনে জন্য তিনি প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সর্ব মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করা সহ মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য জোড় দাবি জানান ও প্রকৃত ঘটনা তদন্তে সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়। এসময় জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক জাহেদুল হক ও ধুনট উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।