রাইজিংবিডি সূত্র;
আমি তো কানে শুনি না। কানের মেশিনটাও নষ্ট হয়ে গেছে। অল্প অল্প বাজে! ওরে কন। ও আমারে বুঝাইয়া কইলে আমি উত্তর দিতে পারুম।’
মুঠোফোনে বাংলাদেশের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার রাম চাঁদ গোয়ালার সাক্ষাৎকার চাওয়া হয়েছিল। রাইজিংবিডি’র প্রতিবেদককে রাম চাঁদ উত্তর দিয়েছিলেন এভাবে-ই।
বয়সের ভারে নুহ্য বাংলাদেশের প্রথম এই বাঁহাতি স্পিনার। সম্প্রতি চোখের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হয়েছে কালো চশমা। শরীরে বেঁধেছে আরও কিছু রোগ। সব মিলিয়ে নিষ্ঠুর সময় কাটাচ্ছেন। তবুও জীবনের ঘড়ি যখন চলছে তখন হাল ছাড়েন কিভাবে?
ভাতিজা তপন কুমার গোয়ালা, দুই নাতি আকাশ ঘোষ ও অথৈ ঘোষ এবং দুই ভাতিজার স্ত্রীদের নিয়ে ময়মনসিংহের ব্রামেনপালির নিজ বাড়িতে আছেন রাম চাঁদ গোয়ালা। ভাতিজার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা? উত্তরে মিলল একেকটি প্রতিকূল সময়ের যন্ত্রণার অধ্যায়।
‘কানে কম শুনছে। ইদানিং চোখে অপারেশন করা হয়েছে। এ মাসের ১১ তারিখে। একটা লেন্স লাগানো হয়েছে। চোখে কম দেখতেন। এছাড়া স্ট্রোক হয়েছিল দুইবার। চলা ফেরা করতে পারেন না। হাঁটুতেও ব্যাথা।’
‘বয়স তো ৮৩-৮৪। বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো আছেই। হার্টের ওষুধ খেতে হয়। তবে সারাদিন শুয়ে বসে কাটান না। বাসা থেকে একটু সামনে হেঁটে আসেন। সাথে অবশ্য লাঠি লাগে। মুক্তভাবে হাঁটতে পারেন না। প্রতিদিন ১৫০-২০০ টাকার ওষুধ খেতে হয়।’
গত বছর বিসিবি তাকে দিয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। সেই অর্থ দিয়ে চলছে তাঁর দৈনন্দিন জীবন ও চিকিৎসা খরচ। জীবনের সূর্য নিভে যেতে পারে যেকোনো সময়, এমন শঙ্কায় কাটাচ্ছেন প্রতিটি মুহূর্ত। শেষবেলায় একটাই চাওয়া, ‘একটু যদি সুস্থ থাকতাম তাহলে মাঠে যেতাম আরেকবার।’
* রাম চাঁদ গোয়ালার পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকাল সোমবার,